খুলনায় যুবদল নেতা মোল্লা মাহবুব কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া তিনজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে দৌলতপুর থানা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ র্যাবের পৃথক টিম মাঠে কাজ করছে। তবে রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে নিহতের বাবা আবদুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজহারে আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময়ে নিহত মাহবুবের সঙ্গে গাড়ি পরিষ্কারের কাজে সহায়তাকারী স্থানীয় এক ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়ে চাঞ্চল্যকার কিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। স্থানীয়রা জানান, হত্যাকারীদের একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও বাকি দুজনের মুখ খোলা ছিল। হত্যাকারীরা মহেশ্বরপাশা পশ্চিম এলাকা দিয়ে ঢুকে কিলিং মিশন শেষ করে তেলিগাতি দিয়ে বের হয়ে যায়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। হত্যাকণ্ডের অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রাঘাতে খুন হন যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমান।