৩০ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৫৫

শেবাচিম হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

শেবাচিম হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খান তার উপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগে ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলা দায়ের করেন ডা. মাসুদ খান। বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুক্রবার দুপুরে কোতয়ালী থানায় যান হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। তার সাথে ছিলেন কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। 

এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে আইনগত করণীয় নির্ধারণে তিনি থানায় যান। বিষয়টি নিয়ে থানার ওসির সাথে আলোচনা করেন তিনি। 

এদিকে শেবাচিম শাখা ইন্টার্ন ডক্টর এসোসিয়েশনের সহসভাপতি নুর ইসলাম দিপু বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ডক্টরস এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন তারা। 

মামলার বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবারত রাত ১২টায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল গেটে তালা ঝুলিয়ে ডা. মাসুদ খানের বিচার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। জরুরি বিভাগসহ সকল গেট আটকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারণে চরম বেকায়দায় পড়েন রোগী ও স্বজনরা। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এসএম সরোয়ার হোসেন। তারা ইন্টার্নদের সাথে আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এক ঘোষণায় শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেন। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ইন্টার্নদের ধর্মঘটের বিষয়ে স্পস্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। 

গত ২০ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনি কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎকের বিরুদ্ধে পরদিন ২১ অক্টোবর পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে পরিচালকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে তার বিচার দাবি করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর