করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি'র) গুলশান অপরাধ বিভাগকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তর করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস রিজিওনাল সিকিউরিটি অফিসের প্রতিনিধিরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর গুলশান অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর কাছে করোনা মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম হস্তান্তর করেন।
সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)-এর মধ্যে রয়েছে ২,০০০ ধুয়ে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মাস্ক, ৪৫০টি ২৫০ মিলিলিটারের মেডিকেল-গ্রেড হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতল এবং ১,০০০ মুখ ঢাকার শিল্ড বা বর্ম। এই সকল সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিনেছে।
পুলিশের গুলশান অপরাধ বিভাগ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সম্মুখ সারিতে থেকে কাজ করছে। তারা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। অনুদানকৃত এই পিপিই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে বাংলাদেশি মানুষের নিরাপত্তায় তাদের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পররাষ্ট্র দফতর ও ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে এই মহামারি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যে জরুরি স্বাস্থ্য, মানবিক, অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে যা গত ২০ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি স্বাস্থ্য সহায়তার অতিরিক্ত। এই তহবিল বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন ও জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করার দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান অপরাধ বিভাগকে অত্যাবশ্যকীয় পিপিই অনুদান দিতে পেরে গর্বিত, কারণ তারা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান অপরাধ বিভাগ এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্যরা, স্বাস্থ্যসেবাদানকারী, শুল্ক কর্মকর্তা, মুদি দোকান ও ফার্মাসিতে কর্মরত ব্যক্তিগণ, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো প্রতিদিন অসাধারণভাবে সেবাদানের কাজ করছে; তারাই এই সময়ের সত্যিকারের নায়ক। যুক্তরাষ্ট্র এই মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে এবং একইসঙ্গে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে তৈরি হওয়া গভীর সম্পর্ক আরো জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত