শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় ২ জন পরিবহন শ্রমিক গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৭ জেলার ১৭ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এই দাবিতে নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের আশপাশের ৮টি পয়েন্টে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। গ্রেফতারকৃত দুই শ্রমিকের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন এবং বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।
গত বুধবার গভীর রাতে নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের বিভিন্ন মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০জন শ্রমিককে নির্যাতন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মু. মুহসিন উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা শতাধিক আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নগরীর রূপাতলীর দুই পরিবহন শ্রমিককে গত শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও গ্রেফতারকৃত ওই শ্রমিক শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
দুই শ্রমিক গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে শনিবার সকাল ১০টার পর নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের ৮টি পয়েন্টে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের ৭ জেলার ১৭ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন মালিক শ্রমিকরা।
তাদের দাবি, দুই শ্রমিককে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত নয়। তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত বাস ধর্মঘট এবং শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে জানান বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন।
এদিকে ১৭ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ