বরিশালের চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। আগামী ইউপি নির্বাচনে ইসলামবিরোধী সকল তাগুতি শক্তিকে পেছনে ফেলে ইসলামের পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। এ লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিন দিনব্যাপী মাহফিলে শনিবার সকালে সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে এ সব কথা বলেন তিনি।
এ সময়ে দেশবাসীর প্রতি ইসলামের পক্ষের শক্তিকে অর্থাৎ হাতপাখা প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
সমাপনী বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে চরমোনাই আলিয়া মাদরাসার তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে। আখেরি মোনাজাত করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। মোনাজাতে দেশ, মানবতা, ইসলাম ও দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করা হয়। পাশাপাশি ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।
প্রতিবছর ন্যায় এ বছরেও চরমোনাই পীরের মাহফিলে কয়েক লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এবারো নির্ধারিত মাঠের শামিয়ানার নিচে জায়গা নিতে ২-৩ দিন আগে এসে অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিবছরই শামিয়ানা উপচে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে আশপাশের বাড়িঘর এবং ফাঁকা জায়গায় মুসল্লিরা অবস্থান নিয়ে মাহফিলে দেশ-বিদেশ থেকে আগত আলেম-ওলামাদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শোনেন।
চরমোনাই মাহফিল আয়োজক কমিটির মিডিয়া সেল সদস্য কে এম শরীয়াতুল্লাহ জানান, এবারের মাহফিলে অন্তত ৫ লাখ লোক নতুন করে পীরের মুরিদ হয়ে সবক গ্রহণ করেছেন। ১১ ব্যক্তি সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে পীরের হাত ধরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ ছাড়া অভিভাবকদের মাধ্যমে মাহফিলের ময়দানে অনেক বিয়ে পড়ানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন