ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইলিশ রক্ষায় অভয়াশ্রমগুলোতে টানা ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে জেলেরা।
শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই নদীতে নামে বরিশাল বিভাগের ৩ লক্ষাধিক জেলে। এর মধ্যে বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার ষষ্ঠ অভায়াশ্রমেও মাছ ধরা শুরু করেছে প্রায় ৮০ হাজার জেলে।
যদিও জাটকা (২৫ সেন্টিমিটারের ছোট সাইজের ইলিশ) ধরা, বিক্রি, মজুত ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
গত ২ মাস হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার শাখা-প্রশাখা নিয়ে গঠিত ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে এবং বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীর হবিনগর পয়েন্ট থেকে মেহেন্দিগঞ্জের বামনীর চর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার, মেহেন্দিগঞ্জের গজারিয়া নদীর হার্ট পয়েন্ট থেকে হিজলা লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার, হিজলার মেঘনার মৌলভীরহাট পয়েন্ট থেকে মেহেন্দিগঞ্জে সংলগ্ন মেঘনার দক্ষিণ-পশ্চিম জাঙ্গালিয়া পয়েন্ট পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, ইলিশ রক্ষায় অন্যান্য অভয়াশ্রমের মত ষষ্ঠ অভয়াশ্রমেও টানা ২ মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে ৬৭২টি অভিযানে ১৭৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই