২৩ জুন, ২০২১ ১৯:৩৬

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন: মামুন রশীদ

অনলাইন ডেস্ক

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন: মামুন রশীদ

পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ। ফাইল ছবি

বাজেটে স্বাস্থ্য বিভাগে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ যেকোনো খাতে বাজেট তার পূর্ববর্তী বছরের উপর অনেকটাই নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ১০ মাসে গত বাজেটের ৫০ শতাংশ ব্যয় করতে পারেনি। সেখানে এ খাতে বাজেট বাড়ানোর প্রশ্ন অযৌক্তিক। স্বাস্থ্য খাতে এবার ৩৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ নয়, বাজেটের টাকার গুনগত ব্যবহার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশ সরকারের ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ) বাংলাদেশ একটি ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। একারণে প্রধানমন্ত্রী ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে নির্ভর করেছেন সিভিল সার্ভেন্ট, সেনাবাহিনী এবং পুলিশের উপর।’

পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ বলেন, ‘এফএমসিজি কোম্পানিগুলোর প্রমোশনাল ক্যাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে প্রমোশন। এছাড়াও গুগল, আমাজন, ফেসবুক ইত্যাদি কোম্পানিকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এখন থেকে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে এজেন্টরা দায়বদ্ধ থাকবেন। হায়ার ব্রাকেটে ব্যক্তিগত আয়কর বাড়ানো উচিৎ ছিল।’ 

গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনসের এমডি এবং সিইও আরিফ আল ইসলাম, ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান, এসিসিএ বাংলাদেশের সিনিয়র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার-লার্নিং শাহ ওয়ালীউল মনজুর, মার্কেটিং ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং বিজনেস সার্ভিস ও কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার জিএম রাশেদ সহ এসিসিএ বাংলাদেশের মেম্বার এবং বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এসিসিএ বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন প্রমা তাপসী খান এবং আয়োজনে সহায়তা করেন এইস অ্যাডভাইজরি এবং ট্যাক্সহাউজ বাংলাদেশ লিমিটেড।

বাজেট বৈঠকে মামুন রশীদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে জিডিপি অনুপাতেও করদাতার হার খুবই কম। ২০১৫ সালের জরিপে বছরে ৬ হাজার ৫০০ ডলার আয় আছে এমন জনসংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ, ৩ হাজার ৫০০ ডলার আয় আছে প্রায় ৩ কোটি মানুষের। অথচ করদাতার সংখ্যা মাত্র ২৫ লাখের কিছু বেশি। আমরা যদি করদাতার পরিমাণ বাড়াতে না পারি তাহলে অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বাজেট প্রণয়নে অনেক তাড়াহুড়া করা হয়। প্রাইভেট সেক্টরের মতামতকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমাদের সরকারি ও প্রাইভেট সেক্টরের মাঝে মতভেদ ও যোগাযোগের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আমাদের তরুণ উদ্যোক্তাদের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হলে তরুণদের  সুযোগ করে দিতে হবে।’

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর