চাকুরীর প্রলোভনে বরিশালের এক তরুণীকে রাজধানীতে নিয়ে ৮ মাস আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। কৌশলে পালিয়ে বরিশাল ফিরে নির্যাতিতা তরণী মানব পাঁচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন আপন চাচা, ফুপু ও ফুপার বিরুদ্ধে। আসামিদের গ্রেফতার করে কঠোর বিচার দাবি করেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার। এ মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা।
বরিশাল সদর উপজেলার নরকাঠী এলাকার এক মেয়েকে ১৪ মাস আগে এক পাত্রের কাছে বিয়ের ব্যবস্থা করেন তার ফুপু। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে তরুণীর সংসার ভেঙ্গে দিয়ে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যান ফুপু নুপুর বেগম এবং চাচা সোহেল খান। ঢাকায় নিয়ে তাকে নির্যাতনের মুখে বাধ্য করা হয় দেহ ব্যবসায়। শনির আখড়া, জুরাইনসহ বিভিন্ন স্থানে ৮ মাস আটকে রেখে তার উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ২ লাখ টাকায় তরুণীকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা করে ফুপু।
এ সময় কাজের লোকের সহায়তায় পালিয়ে বরিশালে ফিরে আসে সে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে জিম্মি করা হয়েছিলো তরুণীর বাবাকেও। স্বজনদের পরামর্শে সোমবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় আপন চাচা সোহেল খান, ফুপু নুপুর বেগম এবং ফুপা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন নির্যাতিতা তরুণী।
নির্যাতিবার বাবা বলেন, এখনও তাকে হুমকী-ধামকী দিচ্ছে এই চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং কঠোর বিচার দাবি করেন নির্যাতিতার মা ও বাবা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) উপ-কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, এক তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে বিএমপির বন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এই চক্রটি ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থার ছবি তুলে তাদের কাছ থেকে মোট অংকের পন আদায় করতো এবং এ কারনে তারা ঘন ঘন বাসা পাল্টায় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিত তরুনী।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন