যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যে ইউপিএস কার্গো বিমান দুর্ঘটনায় সৃষ্ট অচলাবস্থা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
এছাড়া লুইসভিলে মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উড্ডয়নের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে আকাশে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় এবং এই ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই ঘটনায় আহতরা ‘খুব গুরুতর’ আঘাত পেয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। লুইসভিলের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ বুধবার বলেছেন, বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করা হয়েছে যাতে বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
বেশিয়ারের মতে, কমপক্ষে ১৬টি ভিন্ন পরিবার নিখোঁজ প্রিয়জনদের খবর দিয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে, ইউপিএস জানিয়েছে, বিমানে তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন, তবে তারা আরো যোগ করেছে, ‘আমরা কোনো আঘাত/হতাহতের খবর নিশ্চিত করিনি’।
একটি প্রাথমিক তদন্ত চলছে। কর্মকর্তারা অবশ্য উল্লেখ করেছেন, বিশাল অগ্নিকাণ্ডের কারণ ছিল বিমানটিতে থাকা বিপুল পরিমাণ জ্বালানি, যা প্রায় ছয় ৯২০ কিলোমিটার দূরত্বের হাওয়াই যাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।
বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ৩৮ হাজার গ্যালন (এক লাখ ৪৪ হাজার লিটার) জ্বালানি ছিল।
দুর্ঘটনায় জড়িত বিমানটি ছিল একটি এমডি-১১এফ ট্রিপল-ইঞ্জিন বিমান, যা ৩৪ বছর আগে থাই এয়ারওয়েজের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী জেট হিসাবে প্রথম পরিষেবা শুরু করে, কিন্তু ২০০৬ সালে এটিকে ইউপিএসে স্থানান্তর করা হয়।
বিমানটি মূলত ম্যাকডোনেল ডগলাস দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যা ১৯৯৭ সালে বোয়িং-এর সঙ্গে একীভূত হয়। ২০২৩ সালে ফেডেক্স ও ইউপিএস উভয়ই তাদের বহর আধুনিক করার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আগামী দশকে তাদের এমডি-১১ বহর বাতিল করা শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল।
এক বিবৃতিতে বোয়িং বলেছে, তারা গ্রাহকদের পাশে থাকত্ত প্রস্তুত। এ ছাড়া এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের নিরাপত্তা ও মঙ্গলের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
সূত্র : রয়টার্স, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম