মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি (এমপি) বলেছেন, বাল্যবিবাহ যারা দিচ্ছে না, যেসব পরিবারে ১৫-১৮ বছর বয়সী কিশোর-তরুণী আছে, এমন হতদরিদ্র পরিবারকে প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে পুরস্কার ও বাল্যবিবাহে তিরস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে ‘কিশোরী-কিশোরদের আত্ম-উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) যৌথভাবে এই গোলটেবিল সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিএজেএন সভাপতি মাহফুজা জেসমিন।
গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মার্ফি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাল্যবিয়ে কিশোরী-তরুণীদের সামনে চলার পথকে প্রতিনিয়ত রুদ্ধ করছে। বাল্যবিবাহ শিশু-কিশোরীদের আত্মউন্নয়নে বাধা। বাল্যবিয়ের সংখ্যা, কারণ নিয়ে প্রতিবেদন হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে এসে দেখে দেখে সুন্দরী কিশোরীদের যারা বিয়ে করছেন তাদের নিয়ে এখন রিপোর্ট হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, যে বয়সে বাল্যবিয়ে হচ্ছে সেই বয়সটা খুবই খারাপ। খুবই বিব্রতকর একটা বয়স আমরাও পেরিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে খুব কমই এড্রেস করা হচ্ছে। আমরা কেন বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। এটা আলোচনায় আনা উচিত। সামাজিক সব সমস্যার সমাধান সরকার করতে পারে না। সবার সহযোগিতার দরকার পড়ে। পার্লামেন্টে আমাদের কমিটি আছে। বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করছি। ইতোমধ্যে কন্যা শিশুদের মধ্যে জাগরণ শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক