চীন থেকে গার্মেন্টস এক্সেসরিজের আড়ালে অবৈধভাবে আমদানি করার পর ডেলিভারি গেট থেকে ঢাকা এয়ারফ্রেইট কাস্টমস গোয়েন্দা কর্তৃক প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি (৯৬টি বার) স্বর্ণ আটক করেছে। আটকরা-হলেন ফিরোজ আলম (২৫) মোহাম্মদ নিয়াতুল্লাহ (৪০)।
রবিবার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে (উত্তরা) এয়ারফ্লাইট ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ।
মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাস্টম গোয়েন্দার বিশেষ এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
কাস্টমস গােয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ইনভেন্ট্রিকালে এয়ারওয়েবিলের মাধ্যমে আমদানিকৃত ফেব্রিক্সের ভাঁজের মধ্যে ২টি সাদা প্লাস্টিকে মােড়ানাে প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেট দুটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতরে কালাে স্কচটেপ মােড়ানাে ৪টি বান্ডল পাওয়া যায়।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বান্ডেল খুলে ১৬টি করে মােট ৬ টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়, যার ওজন ৭.৪২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে)। এরপর অপর একটি আমদানিকৃত ফেব্রিক্স থেকে ১টি সাদা প্লাস্টিকে মােড়ানাে প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতরে কালাে স্কচটেপ মােড়ানাে ২টি বান্ডল পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে বান্ডেল খুলে ১৬টি করে মােট ৩২টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৩.৭১২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে), যার সর্বমােট আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রিক্সের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে লুকিয়ে স্বর্ণবারসমূহ অবৈধভাবে সরকারি ধার্যকৃত শুল্ককরাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে, কাস্টমস গােয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় তা প্রতিরােধ করা সম্ভব হয়েছে। আটককৃত স্বর্ণবারগুলাে কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা প্রদান করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আটককৃত দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এবং একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।