স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বীর শহীদ এ এইচ এম ইব্রাহিম সেলিম, দেলোয়ার হোসেনের ৩৮তম মৃত্যু দিবসে ১৯৮২-৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে, প্রয়াত নেতৃবৃন্দের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
আজ বিকাল সাড়ে চারটায় স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আসাদুল্লাহ তারেকের সভাপতিত্বে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় সভা পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্র নেতা সফী আহমেদ। সভার শুরুতে প্রয়াত নেতৃবৃন্দের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সভায় শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, সাবেক ছাত্র নেতা মোখলেছউদ্দিন শাহিন।
প্রয়াত নেতাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা অংশনেন সাবেক ছাত্র নেতা নাজমুল হক প্রধান, মোহন রায়হান, বাদল খান, সুজাউদ্দিন জাফর, রাজু আহমেদ, এম এ সাব্বির, সালেহ আহমেদ, হারুন মাহমুদ, জাহেদ ইকবাল খান, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, অশোক ধর, জেলা দায়রা জর্জ এম এ রব, শহীদ এ এইচ এম সেলিম-এর কন্যা তরথী ইব্রাহিম প্রমুখ।
উল্লেখ, ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র মিছিলে পুলিশের ট্রাক চাপায় সেলিম-দেলোয়ার নিহত হন এবং অসংখ্য ছাত্র নেতা কর্মী আহত হন।
সভায় প্রয়াত সেলিমের কন্যা তরথী ইব্রাহিম বলেন, আমার বাবার ত্যাগকে স্মরণ করে অগ্রসর সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
নাজমুল হক প্রধান বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সঠিক ইতিহাসকে তুলে ধরে গণতান্ত্রিক চেতনার ধারাকে এগিয়ে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে ধারা, অসাম্প্রদায়িক, শোষণ বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেলিম-দেলোয়ার সেই ধারাকে সমুন্নত রাখতে জীবন দিয়ে গেছেন। আজকে আমাদেরকে সেই চেতনার স্বদেশ গড়ার কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন