রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব এবং গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে জুনিয়র গ্রুপের সদস্য জাহিদ হাসানকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এরা হলেন মো. জসিম, মো. ইমতিয়াজ ওরফে বাদশা, মো. সোহাগ ও মো. কামরান। রবিবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে এবং দিনাজপুরের কোতয়ালীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে পল্লবীর ব্লক-সি, কাঁচা বাজার পেয়াজ পট্টি এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হানিফ খান বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আজ এসব তথ্য জানান ডিবির মিরপুর বিভাগের এডিসি মো. মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, রবিবার দিনাজপুরের কোতয়ালী থানার কোম্পানী মোড় চেহেলগাজী মাজার সংলগ্ন বিহারী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জসিম ও ইমতিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে জসিম নিহত জাহিদকে সরাসরি ছুরিকাঘাত করে। গ্রেফতার দুজনের তথ্যমতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সোহাগ ও কামরানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে রাজধানীর পল্লবীর থানার ব্লক-সি এর মনোরোগ ক্লিনিকের সামনে লেগুনা চালক ইমান আলী গাঁজা খাচ্ছিলেন।
এ সময় নিহত জাহিদের এলাকার ছোট ভাই মিরাজ প্রতিবাদ করে। ওই ঘটনার জেরে ইমান আলী মিরাজকে চর থাপ্পর দেয়। মিরাজ তার এলাকার বড় ভাই জাহিদসহ অন্যান্যদের বিষয়টি অবহিত করে। পরবর্তীতে তারা ইমান আলীকে মারধর করে। ইমান আলী মার খাওয়ার বিষয়টি তার লেগুনা গাড়ির হেলপার ইমরানকে জানায়। ইমরান তার বন্ধুদের নিয়ে জাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং জাহিদের সহযোগী কামরান, হাসান ও জয়কে আহত করে।
এর আগে, শনিবার ঢাকার পল্লবী, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে অভিযান চালিয়ে জাহিদ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪ এর সদস্যরা। তারা হলেন মো. ইফরান ওরফে ডামরু, মো. ডলার হোসেন, মো. রাজা হোসেন ও মো. কোরবান। র্যাব বলছে, গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিহারি। তবে নিহত জাহিদ ছিলেন বাঙ্গালি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল