বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ১৪টি কলেজ এবার ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থী পায়নি। দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত এসব কলেজ নাম সর্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তবে বছর শেষে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এসব কলেজ থেকে।
১৯২৭ সালে বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোডে প্রতিষ্ঠিত জগদীশ সারস্বত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টিতে কলেজ সংযুক্ত হয় ২০১১ সালে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় কোনো অধ্যক্ষ, শিক্ষক কিংবা কর্মচারী নিয়োগ হয়নি। আজ পর্যন্ত কলেজ সেকশনে ভর্তি হয়নি কোনো ছাত্রীও। কিন্তু নানা ফন্দি ফিকির করিয়ে গত বছর ১০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এখন কলেজ ভবনে চলছে স্কুলের ক্লাশ।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, স্কুলের শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। কলেজের কোনো অবকাঠামো এমনকি শিক্ষক-শিক্ষার্থীও নেই। কলেজের কার্যক্রম সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ।
একইভাবে ডা. আরিফুর রহমান কমার্স কলেজ, পিজিএস স্কুুল এন্ড কলেজ, পানপট্টি কলেজ, হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, আরামকাঠি ইব্রাহীম স্কুল এন্ড কলেজ, তেলিখালী স্কুল এন্ড কলেজসহ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ১৪টি কলেজ একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী পায়নি এখনও। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধিনে বিভাগের ৬ জেলায় ৩৫২টি কলেজ রয়েছে।
শুধু বরিশাল নয় সারা দেশে এবার ২৫৪টি কলেজে শিক্ষার্থী জোটেনি। আন্তঃবোর্ডের সভার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওইসব কলেজে কেন পাঠক্রম বন্ধ করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে শীঘ্রই তাদের নোটিশ দেয়া হবে। এরপর তাদের জবাব অনুযায়ী নেয়া হবে পরবর্তী ব্যবস্থা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন