খুলনার কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইকবাল হোসেনকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে খুলনার ইউপি সচিব ও হিসাব সহকারীরা কর্মবিরতি পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি, খুলনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালককে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকালে কাজ শেষে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পর কিবরিয়া ও হাফিজুল নামের দুই জন আমাকে পুনরায় পরিষদে নিয়ে যায়। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আমি বিষয়টি স্থানীয় সরকার খুলনার উপ-পরিচালককে ফোন দিয়ে জানাই। পরিষদে নিয়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দরজা আটকে ব্যাপক মারধর করে। এতে আমার হাত ও পায়ে কয়েকস্থানে জখম হয়।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে সচিব অফিস ত্যাগ করে চলে যান। এমন সময় একটি পঙ্গু লোক এসেছিল ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেটের জন্য। তখন সচিবকে না পেয়ে ফোন করে পরিষদে আসতে বলি। তখন তিনি অফিসে আসতে রাজি হননি এবং আমাকে বলল আমি ১০-৫টা অফিস করব। এরপরে আর কাজ করতে পারব না। তখন আমি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনি। সে তার ভুল স্বীকার করেছে। কিন্তু মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মারপিটের অভিযোগ করলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর