অপহরণের ১১ দিন পর সাভারে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের কোন্ডা কোর্টাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কলেজছাত্রের নাম শাকিব আল হাসান (১৯)। সে কোন্ডা কোর্টাপাড়া এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে এবং সাভারের আমিনবাজার এলাকার মিরপুর মফিদ ই আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত কলেজছাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ১৭ মার্চ শাকিব আল হাসানকে কোন্ডা কোর্টাপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রাতে কয়েকজন উঠতি বয়সী বন্ধু মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
ওইদিনই শাকিবের পরিবার অপহরণের একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাভার মডেল থানায়। পরে পুলিশ শনিবার রাতে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, ওই কলেজছাত্রকে কেন হত্যা করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে।
অপরদিকে, সাভারে রাজাশনের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত (২৮) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ভবনের নিচ তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোমেনুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের খবরে রাতে সাভারে রাজাশনের আশুলিয়ার এলাকার একটি ভবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, রাতের কোনো সময় ওই যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে শার্ট ও জিন্স প্যান্ট রয়েছে। তবে নিহতের কোনো পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই