পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আলমগীর হোসেন (২৫) ও ফজলু মিয়া (২৫) নামের দুই যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শাহবাগ থানা পুলিশ মরদেহ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপক বালা বলেন, রবিবার পদ্মা সেতুতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এদিকে হাসপাতালে নিহত ফজলু মিয়ার মামাতো ভাই আলী হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের হরিশকুল গ্রামে। বাবা আবু মিয়া অনেক আগেই মারা গেছেন। মা ফজিলা বেগমকে নিয়ে থাকতেন অবিবাহিত ফজলু। তার আর কোনো ভাই বোন নেই। বেশ কিছুদিন ইরাকে ছিলেন ফজলু। চার মাস আগে দেশে আসেন।
আলী হোসেন আরও জানান, রবিবার বিকালে তার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কোথায় যাবেন তা কাউকে বলে যাননি। রাতে জানতে পারি বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে সেখানে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পরে ঢামেকে এসে ফজলুর মরদেহ পাই।
আর নিহত আলমগীরের বড় ভাই রমজান মিয়া জানান, তাদের বাড়িও নবাবগঞ্জেরর শামসাবাদ এলাকায়। বাবার নাম চিনু মিয়া। আলমগীর নবাবগঞ্জে মোটর মেকানিকের কাজ করতো। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে রাতেই দুর্ঘটনার খবর পাই।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর ওপরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন ফজলু ও আলমগীর। পরে তাদের একটি পিকআপযোগে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
.jpg?v=1713581006)
