গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিনব কায়দায় চলছে মাদক ব্যবসা। অভিনব পন্থায় পেটে, মলদ্বারে, গোপনাঙ্গে বহন করে সরবরাহ করা হচ্ছে মাদক। আবার অনেকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছে আবাসিক হোটেল। বড় বড় ডিলাররা গা-ঢাকা দিলেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। আর এই মাদকের কারণে একদিকে অবনতি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরদিকে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকর্মী কৌশলে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। আবার এলাকাবাসী দাবি করেছেন, পুলিশ ও র্যাবের সোর্সরা মাদক ব্যবসাসহ সকল অপরাধের সাথে জড়িত।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীরর বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্নভাবে বহন করে সরবরাহ করছে মাদক। আবার নগরীর বেশ কিছু আবাসিক হোটেলকেও মাদক ব্যবসায়ীরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া টঙ্গীর শিলমুন, মরকুন, আরিচপুর, গোপালপুর, নদীবন্দর, টঙ্গী বাজার ভরান, মাছিমপুর, এরশাদ নগর,আউচপাড়া, গাজীপুরা সাতাইশ, মিল গেট নামা বাজার বস্তি, ৫৭নং ওয়ার্ড হাজী মাজার বস্তি, দত্তপাড়াসহ ২৫/৩০ স্পর্টে অবাধে মাদক বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব মাদক বিক্রির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত পুলিশের একাধিক সোর্স।
এলাকাবাসী বলছেন, পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর পর আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে তারা বেড়িয়ে আসেন। পরে তারা আবার শুরু করেন মাদক ব্যবসা।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল