১৩ আগস্ট, ২০২২ ২১:৫৩

দাম বেড়ে যাওয়ায় ডাকাত দলের টার্গেট হয় ডিমবাহী পিকআপ ভ্যান

অনলাইন ডেস্ক

দাম বেড়ে যাওয়ায় ডাকাত দলের টার্গেট হয় ডিমবাহী পিকআপ ভ্যান

গ্রেফতার ৬ সদস্য

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর এলাকা থেকে গতকাল রাতে একটি ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের একটি দল। গ্রেফতারের পর র‌্যাব বলেছে, সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডাকাতদলের পরিকল্পনা ছিল ডিমবাহী ট্রাক বা পিকআপ ছিনিয়ে নেবে। তারা দিনের বেলায় বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করতেন আর রাতে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে ডাকাতি করতেন। যাত্রীবাহী বাস দিয়ে তারা ট্রাক-পিকআপ আটকে এক বছরে অন্তত ৬-৭ বার ডাকাতি করেছেন।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেফতাররা হলেন ডাকাত চক্রের সরদার মূসা আলী (৪০), নাঈম মিয়া (২৪), শামিম (৩৫), রনি (২৬), আবু সুফিয়ান (২০) ও মামুন (২৪)।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় একটি ডিমবোঝাই পিকআপের গতি রোধ করে র‌্যাব। পিকআপ থেকে পালানোর সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তায় অসংলগ্ন আচরণ প্রকাশ পাওয়ায় তল্লাশি করে একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

তারা দুজনই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা একটি বাস চালিয়ে পিকআপের পিছু নেয়। একপর্যায়ে পিকআপটির সামনে রাস্তা আটকে চালক ও তার সহকারীকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। চালক ও তার সহকারীকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে বাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর ডাকাত দলের সরদার মূসা ও তার প্রধান সহকারী নাঈম পিকআপটি নিয়ে গাউছিয়া-মদনপুরমুখী রাস্তায় নিয়ে যায়। ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা পিকআপের চালক ও হেলপারকে বাসে করে মদনপুরের দিকে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, পরে ডাকাতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় বাস থেকে ডাকাতদলের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করাসহ উদ্ধার করা হয় পিকআপের চালক ও সহকারীকে। এ সময় বাসের জানালা ভেঙে ৪-৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।

চক্রটি মূলত ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ডাকাতি করে জানিয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মূসার নির্দেশে প্রথম গ্রুপটি বিভিন্ন গার্মেন্টসের পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় দলটি বাস নিয়ে মহাসড়কে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে। তৃতীয় দলটি ডাকাতি করা পণ্য বিক্রি করার জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যায়। এছাড়া, পণ্যবাহী গাড়িটি পরে রং পাল্টে সুবিধাজনক স্থানে বিক্রি করে দেয়, অথবা গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার হওয়া মূসা ১০-১২ বছর ধরে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছেন। মূসাসহ দলের সবার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়ে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার ডাকাতিতে জড়ায়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর