১৬ আগস্ট, ২০২২ ২১:৪৮

পল্লী চিকিৎসকের ‘অপচিকিৎসায়’ অচেতন রোগীকে শেবাচিমে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

পল্লী চিকিৎসকের ‘অপচিকিৎসায়’ অচেতন রোগীকে শেবাচিমে ভর্তি

ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লাউকাঠি এলাকায় গ্রাম্য ডাক্তারের ‘অপচিকিৎসায়’ হনুফা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর জীবন সংকটাপন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নারী অচেতন অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

স্বজনদের অভিযোগ, কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই লাউকাঠি বাজারের পল্লী চিকিৎসক গোড়া চাঁদ শীল খোকনের অপচিকিৎসায় রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে। তারা অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন।

হনুফার ভাই আল-মামুন জানান, গত ১ আগস্ট তার বোন অসুস্থ বোধ করায় পার্শবর্তী এলাকার পল্লী চিকিৎসক গোড়া চাঁদ শীল খোকনের কাছে নিয়ে যান। তিনি কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যবস্থাপত্রে ১৫ প্রকারের ওষুধ লিখে দেয়। ওই ওষুধ খাওয়ার পরে সে আরও অসুস্থ হয়ে পরে। আশংকাজনক অবস্থায় ৪ আগস্ট তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ১৫ প্রকারের ওষুধ সেবনের পর রোগীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন রোগীর মামাতো ভাই মো. শাকিল অহমেদ।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে পল্লী চিকিৎসক গোড়া চাঁদ শীল খোকন বলেন, রোগীর খুটিনাটি সব দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এতে কোন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তার দেয়া চিকিৎসা সঠিক বলে তিনি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেল মুঠোফোনে শেবাচিম হাসপাতালের মহিলা মেডিসন ইউনিট-৪ এর  কনসালটেন্ট ডা. মো. কামাল বলেন, ওই রোগী গত ৪ অগস্ট আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেবাচিমে ভর্তি হয়েছে। ডায়াবেটিকের ওষুধ সেবনের কারণে তার সুগার ফল্ট করেছে। ভর্তির পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। বিভিন্ন চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার জ্ঞান ফেরেনি। তারপরও চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

হনুফা বেগম বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের কৃষক মো. বশির জোমাদ্দারের স্ত্রী। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর