রংপুর বিভাগের ৯ হাজার ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই সংকট নিয়ে চলছে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীর পাঠদান। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অনেক অভিভাবক মনে করছেন।
বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ৮ জেলায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য প্রায় ৫৪ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন। বর্তমানে শিক্ষক রয়েছে প্রায় ৪৯ হাজার। সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অবসরজনিত, বদলি জনিতসহ বিভিন্ন কারণে এসব পদশূন্য হলে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। খুব দ্রুত শূন্য পদ পূরণের সম্ভাবনাও কম। এই সংকট আরও স্থায়ী হলে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা হোচট খাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমনটাই মনে করছে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে।
এদিকে করোনার পরে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আশাব্যঞ্জক সারা পড়েছে বলে দাবি করেছে শিক্ষা অফিস। তাদের দেয়া তথ্য মতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হার ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছেলেদের চেয়ে বেশি। উপস্থিতির হার আরও বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস।
বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, শূন্যপদ পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা বিভাগে আশা জাগিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল