রাজধানীর মিরপুরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আন্দোলনের রিহার্সেল চলছে, ফাইনাল খেলা এখনো শুরু হয়নি। আগামী দিনে রাজপথে প্রত্যেকের হাতে মোটা মোটা লাঠি থাকবে। কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, বরং আত্মরক্ষার্থেই এই লাঠি রাখতে হবে। তবে পাল্টা আঘাত এলে আঘাত করতে হবে। সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, বিজয় নিশ্চিত।’
আজ বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের ৬নং সেকশনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে স্থানীয় যুবলীগের একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয় পাশের এলাকায়। এতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফলে মিরপুর এলাকায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে সমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করেই তারা এই জনসভায় যোগ দেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তরের হাজী মো. ইউসুফ, রফিকুল আলম মজনু, আনোয়ারুজ্জামান, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, মিরপুর থানা বিএনপির দেলোয়ার হোসেন দুলু, রাজীব আহসান, মামুন হাসান, সফিকুল ইসলাম মিল্টন, মোস্তফা জগলুল পাশা, যুবদলের মো. জাহিদ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মহানগর উত্তর বিএনপির মিরপুর জোনের উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়নগঞ্জের শাওন প্রধানের হত্যা এবং পল্লবীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। এসময় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এই সরকার যেখানে ক্ষমতায়- সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি দিয়ে কিছু হবে না। আজকেও সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে, শেষ পর্যন্ত বাধা দিয়ে কোনো কাজ হয়নি।
তিনি বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের জবাবে বলেন, ২০১৩ ও ২০১৫ সালের আন্দোলন চোখে দেখেননি? মাত্র রিহার্সেল চলছে ফাইনাল খেলায় কর্মীরা নামেননি। এখনই আন্দোলন করতে পারে না বলেন কেন? মনে রাখবেন- কারো রক্ত বৃথা যাবে না, অতীতেও বৃথা যায়নি। রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র এনেছি- রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করব। আমার ভাইকে মরতে হয়েছে, মরতে হয় আমিও মরব। রক্তের ঋণ পরিশোধ করব। এই সরকারের সব খেলা শেষ, দিনের ভোট রাতে কাটার লোক নেই। শেখ হাসিনাকে ছাড়াই ভোট হবে এবার। জনগণের দাবি এখন একটাই- এই ফ্যাসিবাদী লুটেরা সরকারের পদত্যাগ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক