গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক এর নির্দেশনায় ও উপপরিচালক জনাবা সানজিদা খানম এর নের্তৃত্বে মঙ্গলবার ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকা (ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন) আগত মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাস্টমস গোয়েন্দার টহল টিম কর্তৃক অতর্কিত চিরুনী অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দার টহল টিম নির্দেশনা মোতাবেক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছাবার কিছু ক্ষণ পূর্বেই স্টেশনের আশেপাশে নিজেদের কৌশলগত অবস্থান নিশ্চিত করে।
ট্রেনটি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌছা মাত্রই পুরা গোয়েন্দা টহল টিমটি সমগ্র ট্রেনটিকে ঘিরে ফেলে এবং নজরদারির আওতায় নিয়ে আসে। সাধারণ যাত্রীগন ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নির্বিঘ্নে স্টেশন ত্যাগ করে। অতঃপর কাস্টমস গোয়েন্দা টহল টিমের সদস্যগন বাংলাদেশ ও ভারত পাসপোর্টধারী উভয় দেশের
সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী করেন। একই সাথে চৌকস কাস্টমস গোয়েন্দা টহল টিম, ট্রেন হতে সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার পরে, সমগ্র ট্রেন জুড়ে ব্যাপক তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অনেক যাত্রী তাদের প্রাপ্যতার তুলনায় অধিক মালামাল বহন করায় তাদের নিজেদের মালামালকেও অন্যের মালামাল বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে।
এ অভিযানে আগত যাত্রীদের নিকট হতে ব্যাগেজ সুবিধার অতিরিক্ত ব্যাপক পরিমানে ভারতীয় মালামল উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত সকল মালামালগুলো মোট ১১৫টি (১১১টি এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪টি) ডিএম এর মাধ্যমে কাস্টমস হাউস, ঢাকাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে শাড়ী-৭৩১ পিস, থ্রি পিস -২২৬৫ পিস, শাল/ চাদর -২১০ পিস, শার্ট-১১৪ পিস, টিশার্ট -৩৫ পিস, ওড়না -২০৬ পিস, ট্রাউজার -১৮১ পিস, আন্ডার গার্মেন্টস -৫৯২ পিস, ওয়ান পিস- ৯০ পিস, ব্লেজার -১৫ পিস, পাঞ্জাবি -৩২ পিস,
কসমেটিকস -৪০৬ কেজি, জুয়েলারি ইমিটেশন -২১৪ কেজি, ঔষধ -১৬ কেজি, সিগারেট -৭৫ কার্টুন,জর্দা -২১ কেজি, এলকোহল -৪২ বোতল (লিটার), ট্রিমার -১০ পিস, হাত ঘড়ি -১২ পিস, চকলেট -১০ কেজি, থান কাপড় -৮ কেজি সহ অন্যান্য পণ্য।
মালামালগুলোর সর্বমোট বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮শ টাকা। আটককৃত উক্ত সকল মালামাল পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কাস্টম হাউস, ঢাকার নিকট জমা প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ