চক্ষু চিকিৎসক অধ্যাপক দীপক কুমার নাগের ভুল চিকিৎসার কারণে ৩৩ শতাংশ অন্ধত্ব বরণ করেছেন আরেক নারী চিকিৎসক মাহজাবিন হক। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে ময়মনসিংহ নগরীর তিন কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
বুধবার দুপুরে নগরীর টাউন হল এলাকা থেকে পাটগুদাম ব্রিজ পর্যন্ত এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, নাগরিক সংগঠনের নেতা, নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা অংশ নেন।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডা. দীপক কুমার নাগ গত ৫ জুন মাহজাবিন হকের চোখের চিকিৎসা করেন। ওই চিকিৎসার পর মাহজাবিন ৩৩ শতাংশ অন্ধত্ব বরণ করেন। পরবর্তীতে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর এ অন্ধত্বের বিষয়টি জানাতে পারেন। এ ঘটনায় দীপক কুমার নাগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই সামিউল হক সাফা।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, চোখের সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন মাহজাবিন হক রাজধানীর একটি চক্ষু হাসপাতালে দেশের বিশিষ্ট রেটিনা বিশেষজ্ঞ দীপক কুমার নাগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দীপক কুমার নাগ মাহজাবিনের চোখ পরীক্ষা করে দুই চোখেই লেজার অপারেশন করতে বলেন। দীপক নাগের অপচিকিৎসার কারণে মাহজাবিন হক ৩৩ শতাংশ অন্ধত্ব বরণ করেছেন। ময়মনসিংহের মানুষ এই অপচিকিৎসার জন্য দীপক নাগের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে।
এর আগে, গত ১২ জুন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মাহজাবিন হক অভিযোগ করে বলেন, অনেকটা জোর করেই দীপক নাগ নিয়ম বহিভূর্তভাবে দুই চোখে লেজার প্রয়োগ করেন। এতে তিনি ৩৩ শতাংশ অন্ধত্ব বরণ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন