২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর খুলনায় মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। বাদ পড়েন মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, কোষাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান মিঠুসহ শীর্ষ সারির নেতারা। প্রায় সাড়ে ১০ মাস ধরে মঞ্জু’র সমর্থকরা দলের কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
তবে খুলনায় ২২ অক্টোবরের বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের আহ্বানে আবার নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়েছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
বৃৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন মঞ্জু। এসময় মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্জু বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে নির্দেশনার আলোকে দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে তিনি ও মহানগর বিএনপির সাবেক নেতারা সমাবেশে যোগ দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘পরিবহন বন্ধ করে ও পুলিশকে অসৎভাবে ব্যবহার করে, ভয় দেখিয়ে জনতার আন্দোলনকে দমন করা যায় না। এবারও সরকার গণবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে সমাবেশে আসতে বাধা দিতে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে ভোগান্তি তৈরি করেছে। কিন্তু সমাবেশ প্রতিগত করতে পারবে না। পরে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীতে সমাবেশ বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ করেন।’
উল্লেখ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, হত্যা, হামলা, মামলার প্রতিবাদ ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে খুলনায় ২২ অক্টোবর গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ