বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুই দিন আগে থেকে সড়কপথে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বালুভর্তি ট্রলার, ইজিবাইক, নৌকা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, হেঁটেসহ বিভিন্নভাবে খুলনা শহরে আসছেন নেতা-কর্মীরা। যে যেভাবে পারছেন সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মী।
রাত থেকেই খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে জমায়েত হতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকালে মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী খুলনায় এসেছেন। রাতে দলীয় কার্যালয়ে বালিশ-কাঁথা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে গণপরিবহন ও লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ায় বালুভর্তি ট্রলার, ইজিবাইক, নৌকা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, হেঁটেসহ বিভিন্নভাবে খুলনা শহরে আসছেন নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার থেকেই খুলনা মহানগরমুখী নেতা-কর্মীদের যাত্রা শুরু হয়। পরিবহন সঙ্কটে যে যেভাবে পারছেন আসছেন। গতরাতে শহরের রাজপথে দেখা গেছে অভিনব সব দৃশ্য। হাজার হাজার নেতা-কর্মী নির্ঘুম রাত্রি যাপন করেছেন রাজপথে। ছিল না কোনো বিছানা। অনেককে চিড়া-মুড়ি খেতে দেখা গেছে।
রাতে নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে নেতা-কর্মীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। জায়গা স্বল্পতার কারণে পার্টি অফিসের সামনের তিনটি সড়কে রাতে অবস্থান করেন কর্মীরা। সদর থানার উত্তর পাশে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে।
নেতারা জানান, তাদের পুলিশের বাধার সম্মুখীনও হতে হয়েছে। তবে তারা কৌশল অবলম্বন করে খুলনা এসে পৌঁছেছেন। খুলনায় তারা নিকট-আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছেন।
এদিকে শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন, সমাবেশকে বানচাল করতে বিভাগজুড়ে ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লঞ্চঘাট, ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবার সারারাত অভিযান চালিয়ে ৬০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন