গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত এক যুবক মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত ব্যক্তি নাটোরের সিংড়া থানার কদমা এলাকার মোহম্মদ আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩৬)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় ব্যবসায়ী সোহেল রানার বাড়ি থেকে তিনটি গরু চুরি করে চোররা।
এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর বাবা রফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর রবিবার রাত দেড়টার দিকে পাশের নিশ্চিন্তপুর এলাকার মিজু মিয়ার বাড়িতে গরু চোর ধরা পড়েছে শোনেন ওই ব্যবসায়ী সোহেল। পরে তিনি একটি মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। যাওয়ার পথে বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে এক যুবক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হলে মোটরসাইকেলটি থামান।
এসময় তার পরিচয় জানতে চাইলে সে নানা গড়িমসি করতে থাকে। একপর্যায় সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চোর সন্দেহে তাকে ধরার চেষ্টা করেন সোহেল। এসময় তাকে ধরে ফেললে তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে ব্যবসায়ী সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ধাওয়া দিয়ে বকুলকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী সোহেলকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে গণপিটুনির শিকার যুবক বকুল মারা যান। অপরদিকে একই রাতে পাশের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় চোর সন্দেহে অপর যুবক লিটনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই