খুলনায় ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণার মাধ্যমে একটি চক্রের বিরদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে একটি চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
বুধবার দুপুরে র্যাব-৬ এর খুলনা সদর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অধিনায়ক কর্নেল মোশতাক আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার চক্রাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৬।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মো. আব্দুল আলী ফকির (৫০), চিতলমারী উপজেলার মো. আরিফ (৪২) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার মো. হারুন হাওলাদার (৬২)। এদের মধ্যে মো. আব্দুল আলী ফকিরের নামে একাধিক মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়-একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে আলিফ এন্টারপ্রাইজ, খান জাহান এন্টারপ্রাইজ, আলম এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন নামে ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, পিরোজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে কয়লা বিক্রি করবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলী ফকির নিজেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তারা কিছু দিনের জন্য কোনো ভবনে অফিস ভাড়া নিত এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করত।
চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলী ফকির ও তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করত এবং প্রায় শতাধিক মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার করত। কিন্তু তাদের গ্রেফতারে র্যাব-৬ এর একটি দল তদন্ত শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক কর্নেল মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে এবং মূলহোতা আব্দুল আলী ফকিরের নামে একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। তাদেরকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত