রাজধানীতে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীদের কবল থেকে এক প্রবাসীকে উদ্ধার করলো পুলিশ। জানা গেছে, রাজধানীর দিয়াবাড়ির বৃন্দাবনে মেট্রোরেলের তিন নম্বর স্টেশনের নিচে মঙ্গলবার ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন মো. শরিফুল (৩০) নামের এক প্রবাসী। নিজেকে বাঁচাতে প্রাইভেটকারের মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন
ওই প্রবাসী। চিৎকারের শব্দ পুলিশ এগিয়ে গিয়ে দেখে প্রাইভেটকারের ভেতরে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছেন শরিফুল। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন আবু সাঈদ (২৮), সুবেদ (২৬), ফিরোজ আশরাফ হিমু (২৭) এবং তামিম (২৪)। এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। এছাড়া লোহার রড, হাতুড়ি, কালো চশমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা মিরপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে তুরাগ থানা-পুলিশ। আর উদ্ধার হওয়া প্রবাসী চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার দমিবন আলগা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাইসুল ইসলাম।ঘটনার বর্ণনায় উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসী বাসা থেকে বের হয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে সময় মিরপুরের কালশী থেকে তাকে ছিনতাইকারীরা গাড়িতে উঠিয়েছে। গাড়িতে তুলে তার সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে হাত-পা বেঁধে আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে প্রবাসীর বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিল তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইভেটকারটি মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পুলিশের চেকপোস্টে কর্তব্যরত সদস্যরা সন্দেহ করে। সে সময় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। তখন পুলিশ প্রাইভেটকারটিকে চ্যালেঞ্জ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলাও হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘যাত্রী বেশে গাড়িতে তুলে আটকিয়ে চোখ বেঁধে সবকিছু লুটে নিয়ে যেত এ চক্রটি। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক