যুদ্ধাপরাধী মো. আব্দুল মতিনকে (৭০) সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গতকাল দিবাগত রাতে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। আব্দুল মতিন মৌলভীবাজার বড়লেখার পাখিয়ালার মৃত মিরজান আলীর ছেলে।
সোমবার র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দাখিল করা অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণ মতে, আব্দুল মতিন এবং মামলার অপর আসামি তারই আপন ভাই আব্দুল আজিজ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বারপুঞ্জিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা পালিয়ে বড়লেখায় এসে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।
২০১৬ সালের ১ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। তবে আব্দুল মতিন তখন গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। ট্রাইব্যুনালের তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে ২০২২ সালের ১৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে পলাতক জীবনযাপন শুরু করেন। গতরাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ