সমন্বয় করতে পারলে ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঢাকার রাস্তার ধারণক্ষমতা ২ লাখ গাড়ির, অথচ সেখানে প্রতিদিন ১৪ লাখ গাড়ি চলাচল করছে। এরপরও ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে রোবটের মতো দায়িত্ব পালন করে ঢাকার চাকা সচল রেখে চলেছে।
তার মতে, একটি সভ্য ট্রাফিক ব্যবস্থায় চারটি ‘ই’ এর প্রয়োজন হয়। পুলিশ শুধু ল’ এনফোর্সমেন্টের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এর পাশাপাশি এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভারমেন্টের সমন্বয় করতে পারলে ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন। রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যানজট নিরসনে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী অতিথির কর্মময় ও ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের নানা দিক এবং বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়নে তার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার গোলাম ফারুক ডিএমপির ৩৫তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে গত ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর যোগদান করেন। ৩২ বছর ৮ মাস ১০ দিনের চাকরি জীবন শেষে এ পুলিশ কর্মকর্তা ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক