রাজধানীসহ বিভাগীয় কিছু শহরে পরিকল্পিতভাবে কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হলেও জেলা-উপজেলা শহরে কিছুই হচ্ছে না। সেখানে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র শিল্পায়নসহ নানা অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পরিকল্পনা করা হলেও সেটা কাজে দিচ্ছে না। জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামো, আঞ্চলিক পরিকল্পনা এবং স্থানিক পরিকল্পনা দরকার। তাহলেই দেশের টেকসই উন্নয়ন হবে। এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহজ হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে বাংলাদেশ স্থানীয় পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিআইপি। সংবাদ সম্মেলনে বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, সরকারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের দু’টো বিষয় ছিল। এরমধ্যে ‘আমার গ্রাম: আমার শহর’ অন্যটি ‘স্থানীয় সরকার: জনগণের ক্ষমতায়’। একইসাথে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের ইশতেহার ছিল ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’। সরকারের ইশতেহারগুলো তুলে ধরেন এবং বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ তুলে ধরেন তিনি।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সমৃদ্ধ দেশ করার লক্ষ্যে এবং পরিকল্পনা পেশার বিবেচনা নিয়ে ইনস্টিটিউট ইনস্টিটিউট অফ প্লানার্স বাংলাদেশের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো প্রণয়ন করেছে। বিআইপি কর্তৃক প্রণীত এই স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো পরিকল্পনা ২০৪১, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সহ দেশের জাতীয় পরিকল্পনা ও নীতিতে পরিকল্পনায় যথাযথ অনুশীল ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের সাধারণ সম্পাদকের মেহেদী আহসানের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাবিদ আবু নাঈম সোহাগ, সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, ফাহিম আবেদীন, তামান্না বিনতে রহমান, হোসনে আরা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত