গত আইপিএলে যেভাবে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে প্রতিপক্ষদের নাকানিচুবানি খাইয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চলতি আসরে তারা যেন পুরো উল্টো চিত্রের প্রতীক। বিশেষ করে ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি ছিল গতবারের অন্যতম আকর্ষণ। অথচ এবার সেই দলটিই যেন হারিয়ে ফেলেছে ধার। ১০ ম্যাচে সাত হার নিয়ে তারা প্লে-অফের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছে। সর্বশেষ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৮ রানে হেরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা।
শুক্রবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ৫১তম লিগ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে গুজরাট। শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন। ওপেনিং জুটিতে তারা তুলেন ৮৭ রান। ২৩ বলে ৯টি চারে ৪৮ রান করেন সুদর্শন। গিলও খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস—৩৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৭৬ রান। পরে জস বাটলারের সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটিও গুজরাটকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেয়। বাটলার ৩৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে মারেন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে গুজরাট সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ২২৪ রান।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা আশার আলো দেখান হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা। বাঁ-হাতি এই ওপেনার ৪১ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় খেলেন ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তবে ট্রাভিস হেড মাত্র ১৬ বলে ২০ রান করে ফিরে গেলে চাপ বাড়ে দলের ওপর। হেইনরিখ ক্লাসেন (২৩), নিতীশ কুমার রেড্ডি (২১) ও প্যাট কামিন্স (১৯) কিছুটা চেষ্টা করলেও দলীয় স্কোর থামে ১৮৬–এ। জয়দেব উনাদকাট পান সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট।
গুজরাটের হয়ে সমান ২টি করে উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণা ও মোহাম্মদ সিরাজ। পাশাপাশি তারা যৌথভাবে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ডট বল খেলার রেকর্ডও স্পর্শ করে—মাত্র ২২টি ডট বল খেলেছে গুজরাট, যা আগের আসরে হায়দরাবাদের গড়া রেকর্ডের সমান।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৭ জয় তুলে নিয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে গুজরাট টাইটান্স। বিপরীতে হায়দরাবাদের ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ৬ পয়েন্ট, আরেকটি হার মানেই তাদের আইপিএল ২০২৫ অভিযান শেষ হয়ে যাবে আগেভাগেই।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম