২০ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৩৩

‌‘৫ বছরের মধ্যে সরকার দূষণরোধে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‌‘৫ বছরের মধ্যে সরকার দূষণরোধে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয় এমপি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিশেষ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বায়ুদূষণ সহ সার্বিক পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক কাজ করছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকার পরিবেশ দূষণ ও বায়ুদূষণ রোধে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। শুধুমাত্র পানি ছিটিয়ে বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। এটি সাময়িক সমাধান আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি কার্যকরী সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে, আমাদের বায়ুদূষণের উৎস গুলোকে বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য পুড়িয়ে যেন বায়ুদূষণ না হয় সেজন্য বর্জকে সম্পদের পরিণত করতে হবে যার আর্থিক মূল্য থাকবে, ফলে মূল্যবান বর্জ্য কেউ পুড়িয়ে লোকসান করবে না।

বুধবার সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’র সেমিনার কক্ষে শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র যৌথ সহযোগিতায় ‘Saving the life of elderly and young children through mitigation of air pollution and ensuring ‘Fresh Air for Breathing’ শীর্ষক একটি অংশীজন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে তানভীর শাকিল জয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে উক্ত জাতীয় সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী (যুগ্ম সচিব) এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা।

সভাপতির বক্তব্যে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বায়ু দূষণের ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেন, নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর