রাজধানীর লালবাগ ও আনন্দবাজার এলাকায় পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রী এক কিশোরী ও এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন স্কুলছাত্রী সোনালী আক্তার (১৪) ও ইতি আক্তার (১৮)।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাদের দুইজনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনালীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা খালু জসীমউদ্দীন জানান, স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত সোনালী। তার বাবা সোহাগ ও মা বিলকিস আক্তারের অনেক বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বর্তমানে আনন্দবাজার এলাকায় নানির বাসায় থাকতো সোনালী। আর তার মা জর্ডান প্রবাসী।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টার দিকে তার নানি ব্যক্তিগত কাজে মগবাজার গিয়েছিলেন। এ সময় বাসায় একা ছিল সোনালী। সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি দেখতে পান, রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে। তখন প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি স্বজনরা।
এদিকে মৃত ইতির স্বামী সজল জানান, তারা লালবাগ শহীদনগর ২ নম্বর গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। ইতি আর সজল জুতার কারখানায় কাজ করেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে গত রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। আজ সকালে সজল যখন কাজে যান তখন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাসায় ছিলেন ইতি। কিছুক্ষণ পরেই সজল আবার বাসায় ফিরে এসে দেখেন, ইতি বাসার ফ্লোরে ছটফট করছেন। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। তখন জানতে পারেন, বাসায় থাকা বিষ পান করেছেন তিনি। তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তাদের দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ