বরিশালসহ দেশের ৭টি বিভাগে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা গ্রহণের সময় আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে টিকা প্রদান উপলক্ষে অগ্রগতি ও সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল।
সভায় জানানো হয়, এইচপিভি টিকায় বন্ধাত্বের কোন সম্ভাবনা নেই। এ টিকা পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। ভবিষ্যতে মায়েদের নিরাপদ থাকতে বিনামূল্যে টিকা প্রদান সরকারের একটি মহতী উদ্যোগ। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ইউরোপ অস্ট্রেলিয়ায় ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে এ টিকা প্রদান করেছে। এত ভালো মানের টিকা বাজারে নেই এবং ক্রয় করাও সম্ভব নয়।
এইচপিভি টিকা সৌদি আরবিয়া শরিয়া বোর্ড অনুমোদিত। কাতার, সৌদি আরব, মালায়েশিয়া, মরক্কো, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, ব্রুনেই, আলবেনিয়া, লিবিয়া, আরব আমিরাত, উজবেকিস্থানসহ বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কিশোরীদের এইচপিভি টিকা প্রদান করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০৮ সাল থেকে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০টি দেশে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪১তম এইচপিভি টিকা প্রদানকারী দেশ। বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগে ২০২৩ সালে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হয়। এতে কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এই টিকা গ্রহণে ভয় পাওয়ার কোন অবকাশ নেই। এটা শতভাগ হালাল বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
বরিশাল জেলায় ৯৪.১ শতাংশ, ভোলায় ৯৪.৬ শতাংশ ও পটুয়াখালী জেলায় ৯১.৬ শতাংশ কিশোরী এইচপিভি টিকা গ্রহণ করেছে বলে সভায় জানানো হয়।
এখনও যারা টিকা গ্রহণে অসমর্থ হয়েছে তাদের টিকা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেন উপস্থিত বক্তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওসার। রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারে মো. সোহরাব হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ