রাজধানীর তুরাগ এলাকায় দুর্বৃত্তের নিক্ষেপ করা এসিডে মা ও মেয়ের শরীর ঝলসে গেছে। দগ্ধ মায়ের গলা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে স্বর্ণের চেইন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধ অবস্থায় তাদের দু'জনকে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, দগ্ধ সাথী রানী হালদার (৩৫) এর ১৩ শতাংশ ও তার দুই বছরের মেয়ে বিজয়িনী হালদার এর ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে । তারা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ সাথীর চাচা অশ্বিনী হালদার জানান, তাদের বাড়ি পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার ডেমড়া গ্রামে। বর্তমানে তুরাগ কামারপাড়া মার্কেট এলাকায় ভাড়া থাকেন তারা।
বিজয়িনীর বাবা জয় কুমার হালদার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সাথী রানী গৃহিনী। তাদের আরো দুই মেয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, সকালে মেয়ে বিজয়িনীকে নিয়ে বাড়ির বাইরে সেলুনে চুল কাটাতে যান সাথী। ফেরার পথে বাসার গেটের সামনে আসলে এক যুবক তাদের পিছু পিছু আসে। কৌশল অবলম্বন করে জনৈক ব্যক্তির খোঁজ করেন ওই যুবক। সাথী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার দিকে এসিড নিক্ষেপ করে, তার কোলে থাকা শিশুটির গায়েও লাগে। এসময় সাথীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ঐ যুবক।
পরে দ্রুত তাদের দুজনকে প্রথমে উত্তরা মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বিকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
বাসার সামনে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ওই যুবককে সনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান অশ্বিনী হালদার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল