জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানানো হয়।
এসময় গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও তামাক কর বৃদ্ধি: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ও সাংবাদিকদের দাবি সংবলিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রাশেদ রাব্বি।
মতবিনিময়কালে হার্ট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তামাক ব্যবহার হার সবচেয়ে বেশি (৩৫.৩%) বাংলাদেশে। তাছাড়া দেশে প্রতিনিয়ত প্রায় চার কোটি মানুষ ধূমপান না করেও বিভিন্ন পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন (গ্যাটস ২০১৭)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করে। এই অকাল মৃত্যু প্রতিরোধে প্রয়োজন শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন।
বৈঠককালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্’র (সিটিএফকে) লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান ও অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার আতাউর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টা নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার ও কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত