বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে মেয়র হিসেবে জনগণ তাকে দেখতে চায় জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, আদালত জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবেন। শনিবার বরিশাল প্রেসক্লাবের তিন তলা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল মহানগর শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ওই সময় জনগণ আশা করেছিলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনার টিম নিয়ে বরিশালে আসেন। তিনি সকলের সামনে আশ্বস্ত করেছিলেন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন। কিন্তু আমরা তার কথা ও কাজে কোনো মিল পাইনি।
মুফতি ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, ইভিএমের মাধ্যমে যে ভোট হয়েছিলো, বিভিন্ন রিপোর্টের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছেন। সেখানে আগে থেকেই ৩০ ভাগ ভোট গ্রহণ করা ছিলো। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে ভোট দিয়েছে। এমনকি প্রার্থী হিসেবে তার উপর হামলা করতেও পিছপা হয়নি।
তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনার ও এখানকার নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, আমরা তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা রিসিভ কপিটা পর্যন্ত আমাদের দেয়নি।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আপনারা জানেন, দেশের অবস্থা কি হয়েছিলো। যেখানে বিচার পাওয়ার মত কোন ব্যবস্থা ছিলো না। এ জন্য আমরা আদালতের বিচারের শরনাপন্ন হয়নি। যেহেতু ন্যায় বিচার পাবো না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা তামাদী হয়ে গেছে। কিন্তু তামাদী উত্তোরনের এখতিয়ার আদালতের আছে। চিটাগাং ও ঢাকার যে এভিডেন্সের উপর রায় দেয়া হয়েছে। সেই এভিডেন্স আমাদের কাছে আছে। তাদের যে ভিত্তিতে রায় দেয়া হয়েছে। তার চেয়ে অনেক বেশি এভিডেন্স আমাদের কাছে আছে। যেহেতু আমাদের একটা নয়, দুটি রেফারেন্স আছে। সেখানে আমাদের শক্তিশালী এভিডেন্স আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা রায় পেয়েছে, তারাও তো ফ্যাসিষ্টের সময় নির্বাচনের রায় পেয়েছে।
আদালত তার পক্ষে রায় দিলে, নির্বাচন যে প্রহসনমূলক হয়েছে সেটা প্রমাণ হবে। নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন মুফতি ফয়জুল করীম।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল