লন্ডন থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। তাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে লাখো নেতা-কর্মীর উপস্থিতি সত্ত্বেও সকাল থেকে যানচলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরাও সতর্ক থাকায় যানচলাচল অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, বনানী, গুলশান, মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান করেন।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থায় ছিল বাড়তি প্রস্তুতি।
যান চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য আগে থেকেই ট্রাফিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকেও কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন তারা নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করেন এবং সড়কে জনসাধারণের চলাচলে কোনো অসুবিধা না হয়।
খিলগাঁও থানা বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির বলেন, সড়কে যানবাহন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত যেন সৃষ্টি না হয়, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত যেন না ঘটে, সেদিকে দলের নেতাকর্মীরা নজর রাখছেন।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের ডিসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন, এ কারণে আগে থেকেই কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এসব নির্দেশনা মানুষ গ্রহণ করেছে। এটিই আমাদের কাছে পজিটিভ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল