প্রতিবারের মতো এ বছরও একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমী এবং শহীদ মিনার সংলগ্ন অঞ্চল জুড়ে 'আমাদের শহীদ আমাদের ভাষা' শিরোনামে কৃৎকলা (পারফরমেন্স আর্ট) এর প্রদর্শনী হবে।
এ পারফরমেন্সের শুরুতে শিল্পীরা বাংলা একাডেমী চত্বরে ভাষা শহীদের ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করেন। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। যাত্রা পথে মুখোশ পরিহিত শিল্পীরা এবং শিল্পীদের সাথে থাকা শিল্পীবন্ধুরা সাধারণ মানুষকে লাল বর্ণমালার লকেট গলায় পরিয়ে দেন।
ভাষা শহীদদের উৎসর্গ যাতে কখনো ম্লান হয়ে না যায় তাই আজকের প্রজন্মের শিল্পীরা শহীদদের হয়ে ভাষার প্রতীকী প্রচারের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বাংলা বর্ণমালাকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
প্রথম কয়েক বছর তরুণ শিল্পীরা শহীদের হয়ে মুখোশ পরিধান করে শহীদের প্রতীকী ভূমিকা নিলেও ২০১৫ থেকে শিশুশিল্পীরা এতে অংশ নিয়েছেন। এই সম্পৃক্ততা শিশুদের মাঝে ভাষার প্রতি ভালবাসার জন্ম দেবে বলে এই পারফরমেন্সের আয়োজকদের বিশ্বাস।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৯টায় সকল শিল্পী এবং শিশুরা বাংলা একাডেমীর লেখক মঞ্চ চত্বরে একত্রিত হবেন। এখান থেকে পারফরমেন্স আর্টে সূচনা করবে সকাল ১০টার দিকে।
শিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্ত্তীর ভাবনায় প্রথম এই পারফরমেন্স বেশ কিছু নবীন শিল্পীরা শুরু করেছিলেন যারা পরবর্তীতে ‘লাল’ নামক একটি শিল্পী গ্রুপের জন্ম দেয়। এই শিল্পীদের মধ্যে আবু নাসের রবি, সুমনা আক্তার, রূপক রাসেল, সজীব ঘোষ, মিঠুন মন্ডল, জিয়াউর রহমান জয়, বিমান কর্মকার, আফসানা শারমিন ঝুমা, নাদিয়া, সুবর্ণা বড়ুয়া, সেতু এবং বশিরুল্লা মজুমদার আলো ছিলেন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া প্রতি বছর আরও অনেক শিল্পী এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
বর্তমানে ‘লাল’ শিল্পী গ্রুপের সঙ্গে সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে ‘আলো আর্ট স্কুল’। ২০১১ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় এ উপস্থাপনা। অন্যতম উদ্যোক্তা শিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন।