২২ জুন, ২০১৯ ১৭:৪৯

কোটবাড়ির দুটি সড়কের বেহাল দশা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কোটবাড়ির দুটি সড়কের বেহাল দশা

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে যাওয়ার দুটি সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কুমিল্লা কোটবাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের ৩০টি অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন দর্শনার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

প্রায় একই অবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেলতলী বিশ্বরোড থেকে জাদুঘর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাটি। সড়ক দুটির বেহাল দশা হওয়ায় দিন দিন শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে সরকার প্রায় ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মাঝারি ও ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া পলিটেকনিক থেকে ক্যাডেট কলেজ, নব শালবন প্রবেশ পথ থেকে জাদুঘর পর্যন্ত ৩০টি অংশে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সড়কের বড় গর্তগুলো অতিক্রম করতে গিয়ে উল্টে পড়ছে। গর্তে আটকে গেলে যাত্রীদের নেমে যানবাহনের পেছনে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হচ্ছে। এ এলাকাটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। বেলতলী বিশ্বরোড থেকে জাদুঘর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাটি দিয়ে বাস চলাচল করে। এখানের বিভিন্ন স্থানে একাধিক গর্ত হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে বাসও চলাচল করতে পারবে না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সব সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। অটোরিকশা যখন গর্তে ঢুকে পড়ে তখন মনে হয় গাড়িটি উল্টে গেছে। এ সড়কে পায়ে চলাচল করাও কঠিন। আমরা দ্রুত সড়কটির সংস্কার চাই।

পরিবার নিয়ে শালবন বৌদ্ধবিহারে আসা কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, আনন্দে সময় কাটাতে এখানে এসেছি। তবে সড়কের যে বেহাল দশা তা বর্ণনা করা কঠিন। সড়ক দ্রুত সংস্কার না হলে কেউ পয়সা খরচ করে দুর্ভোগ ভোগ করতে আসবে না। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, সড়ক খারাপ হওয়ায় কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরসহ দর্শনীয় স্থানগুলোর পর্যটক কমছে। খানাখন্দ ও গর্তে ভরা সড়ক দিয়ে দর্শনার্থীরা আসছে না। চলতি অর্থবছরে শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের দেড় কোটি টাকা রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এ সড়কটি সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করেছি। তারপরও কোনো সাড়া মেলেনি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর