শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ বস্তি ও মাদকই প্রধান সমস্যা

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

ঝুঁকিপূর্ণ বস্তি ও মাদকই প্রধান সমস্যা

পাহাড় সমতলে ঘেরা প্রায় তিন বর্গমাইল আয়তন নিয়ে ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড। ওয়ার্ডটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকার ভূমি মালিকানা রেলওয়ের। সরকারি পাহাড়ি জমিকে বৈধ-অবৈধভাবে গ্রাস করতে বসেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। রেলের ভূমিতে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বস্তি গড়ে ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করছে প্রভাবশালীরা। বস্তিগুলোকে পরিণত করা হয়েছে মাদকের আখড়ায়। এখানকার প্রধান সমস্যাও মাদক। হাত বাড়ালেই মিলছে। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিগুলোতে বর্ষাকালে বেড়ে যায় জীবনের ঝুঁকি। পাহাড়ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকবার হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। স্বার্থান্বেষী মহল বস্তির অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোকে মাদক ও পাহাড়ি জমি দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরজমিনে জানা যায়, প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে এই ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে ছয়টি বড় আকারের বস্তি রয়েছে। রেলওয়ে, সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার পাহাড়ি জায়গায় এসব বস্তি গড়ে উঠেছে। সরকারি এ সব জমিতে বহুতল বিল্ডিংও নির্মিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বস্তি উচ্ছেদ করেও ভালো ফল পাওয়া যায়নি। এই ওয়ার্ডের শুধু মতিঝর্ণা বস্তিতেই সাড়ে ১০ হাজার ভোটার রয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এলাকার অন্তত ৬০-৭০ জন নারী। লোকসংখ্যার তুলনায় এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। এখানে সিটি করপোরেশন পরিচালিত একটি দাতব্য চিকিৎসালয় ও এনজিও পরিচালিত ক্লিনিক রয়েছে।

উঁচু পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট রয়েছে এখানে। এলাকার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেকাংশে উন্নত হলেও নালা-নর্দমা অপরিচ্ছন্ন ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে অলি-গলির প্রবেশ মুখে।

সর্বশেষ খবর