১৩ হাজার ১৩১ কোটি টাকার দুই মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করতে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। তিনি এদিন সকালে দেশের প্রথম কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজের উদ্বোধন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ ছাড়াও তিনি সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সুধী সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৮ ফুট প্রস্থের এ মঞ্চটি নৌকা আকৃতির। পুরো এলাকায় সুধী সমাবেশের ভাষণ শোনানোর জন্য বসানো হচ্ছে সাউন্ড বক্স ও প্রজেক্টর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী টানেলের (বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান নামে প্রস্তাবিত) খননকাজ উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপমহাদেশের প্রথম টানেল নির্মাণ প্রকল্পের বোরিং কার্যক্রম, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে, কম্পিউটারের সাহায্যে বোরিং কার্যক্রম উদ্বোধন এবং টানেল গেটের কাছে বোরিং পয়েন্টে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের বোরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী সিডিএর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজও উদ্বোধন করবেন। এরপর পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এ সমাবেশে দলীয় শীর্ষ নেতা ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রথম চট্টগ্রামে আসায় দলীয় নেতা-কর্মীরা দারুণ উজ্জীবিত।