মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অনশন চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অনশন চলছেই

কোনোরকমের বয়সসীমা নির্ধারণ না করে যে কোনো বয়সীদের নিয়ে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে গতকালও প্রতীকী অনশন পালন করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বসে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আজ বিরতি দিয়ে আগামীকাল ফের অবস্থান নেবেন তারা। গতকালের কর্মসূচি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে স্লোগান দেন এবং তাদের নিজেদের দাবিগুলোও তুলে ধরেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সম্পর্কে ছাত্রদলের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, ‘আমরা ১৩-১৪ বছর ধরে ছাত্র রাজনীতি করছি। আমাদের জীবনটা এই সংগঠনের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি। দীর্ঘ সময় ধারাবাহিক কমিটি না দেওয়ায় একটা বড় গ্যাপ তৈরি হয়েছে। সেই গ্যাপটা হঠাৎ পূরণ করতে গিয়ে যদি ধারাবাহিক কমিটি ঘোষণা করা না হয়, তবে ছাত্রদল দুর্বল হয়ে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বিরোধী দলে। তাই আন্দোলন-সংগ্রামের কথা মাথায় রেখে এবং ছাত্রদলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা ছাত্রদলের ধারাবাহিক কমিটি চাই।’

বিলুপ্ত কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত বলেন, ‘আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। আজ আমাদের যেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থাকার কথা, সেখানে আমরা আমাদের দলীয় অধিকার আদায়ের জন্য পার্টি অফিসের সামনে অনশন করছি! এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টদায়ক। ছাত্রদলকে নিয়ে যে অবৈধ প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে, তা আমরা মানি না। অবিলম্বে আমরা এই প্রেস রিলিজ প্রত্যাহার ও ধারাবাহিক কমিটির দাবি জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, বয়সের সীমা না রাখা, স্বল্পমেয়াদি কমিটি গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে ১২ জুন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতারা। পরে ওই দিন রাতে দাবি পূরণে সাবেক ছাত্রনেতাদের (ছাত্রদলের কমিটি গঠনে বিএনপি গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা) আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন বিক্ষুব্ধরা। এর আগে ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। আর কাউন্সিলে প্রার্থী হতে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যে কোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হওয়াসহ তিনটি শর্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর