রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠছে নির্বাচন

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ক্রমেই সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে একের পর এক অনেক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। 

এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্রভাবে ২১৭ জন নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন। তাদের মধ্যে অর্ধশতাধিকই দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। যাদের মধ্যে ১৭ জনই হচ্ছে বর্তমান কাউন্সিলর। মূলত দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গেই এবার দল মনোনীত কাউন্সিলর সংঘাতপূর্ণ হয়ে প্রার্থীদের সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। কখনো পোস্টার টাঙানো কিংবা প্রচারের বাধাসহ নানান বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটছে একের পর এক ঘটনা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চললেও পুলিশ থেকেছে কার্যত দর্শকের ভূমিকায়। সর্বশেষ গত শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন ২৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর আবদুল কাদেরের সমর্থকরা।

এ সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, এ দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা যখন সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তখন কাছেই ছিল পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষকে নিবৃত্ত না করে উল্টো সংঘাতে জড়াতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নগরীর সদরঘাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এর আগে ১২ মার্চ ২৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর লিটন ও বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম এরশাদ উল্লার সমর্থকদের মধ্যে পোস্টার টাঙানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে কমপক্ষে ৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিন ও আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর সাবের আহমদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, পুলিশ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং দল মনোনীত দুই ধরনের প্রার্থীর মন রক্ষা করে কাজ করার চেষ্টা করছে। তবে সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে-ই সংঘাতে জড়াবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে যতগুলো সংঘাত হয়েছে, প্রত্যেক ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর