বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ডা. সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষ্য  দিয়েছে আদালতে। তারা হলেন সিরাজুল ইসলাম ও হাজেরা বেগম। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে।

আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

এর আগে ২০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

গত ৬ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলির আদেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে সাবরিনা, আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতিতে তাদের সহযোগিতা করেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন এবং এ কাজের সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে। সিইও আরিফুল জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সবকিছু হয়েছে।

এরপর ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ জুলাই তার তিন দিনের রিমান্ড হয়। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই ফের তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে যান। ১৫ জুলাই তাকে ফের চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড শেষে সব আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক। তার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে সরকারি তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেন আসামিরা। নমুনা সংগ্রহের জন্য নিয়োগ দেন মাঠকর্মী।

তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন করলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়ে এবং বুথ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতেন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটি জালিয়াতির মধ্যেমে তৈরি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর