জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বহুল কাক্সিক্ষত এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে চসিক নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে দলীয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নগরীর অধিকাংশ ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেছিলেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। যেসব ওয়ার্ডে তখন কমিটি হয়নি, সেসব ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠনের কাজ শুরু হওয়ায় তৃণমূলে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও জয়লাভে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। তাই থেমে যাওয়া কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ায় ধীরে ধীরে নির্বাচনী আমেজ ফিরে আসতে শুরু করেছে নগরে। এদিকে চসিক নির্বাচন প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের যা দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, তা নিয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। দিন-তারিখ ঘোষণা করা হলে আমরা নির্বাচন সম্পন্ন করব। যেহেতু পূর্ব তফসিলেই নির্বাচন হবে, ফলে আমাদের দাফতরিক কার্যক্রম এগিয়ে রয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় না গেলেও প্রায় প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের আমন্ত্রণে রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মকান্ডে যোগ দিচ্ছেন। অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার ডাক দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি আহ্বান জানাচ্ছেন আসন্ন চসিক নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার। তার পক্ষে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে কথা বলছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে চসিকের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখার জন্য দলীয় মনোনীত প্রার্থী রেজাউল ভাইকে বিজয়ী করতে আমরা মাঠে আছি, থাকব।
দলীয় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন যখনই হয়, আমরা প্রস্তুত আছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে ভোটের সপ্তাহখানেক আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়। পরে ৪ আগস্ট চসিকের প্রশাসক পদে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দেয় সরকার। ছয় মাসের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চলে গেছে চার মাস। বর্তমান প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।