মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা থেকে নীলফামারী গিয়ে ছিনতাইয়ের পর হত্যা, গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য ঢাকা থেকে নীলফামারীতে যান তারা। সেখানে তারা টার্গেট করা ইজিবাইকে যাত্রী হিসেবে ওঠেন। এরপর নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করেন। চালক আবদুল হালিম তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর তাকে রাস্তায় ফেলে দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে নীলফামারী সদরে এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে ছিনতাই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মাসুম আলী, সাদের আলী ও সমবারু। রবিবার তাদের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মইকুলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ইজিবাইক বিক্রির চুক্তিনামা জব্দ করা হয়েছে। তবে চক্রের হোতা এখনো পলাতক।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, চক্রটির সদস্যরা মূলত ঢাকা ও আশপাশ এবং উত্তরবঙ্গে সুবিধামতো ছিনতাই করেন। ছিনতাইয়ে বাধা পেলে হত্যা করতেও দ্বিধা করেন না তারা। ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় নীলফামারী সদরের ইটাপীর সেতু-সংলগ্ন সড়কের পাশের গর্তে আবদুল হালিমের রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নীলফামারী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির এলআইসি শাখা এর ছায়াতদন্ত শুরু করে।

তিনি বলেন, চক্রটি বেশ সংঘবদ্ধ। ঢাকার আশপাশে বসবাস করেন এর সদস্যরা। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। তারা ঢাকাসহ আশপাশে এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অপরাধ করে থাকেন। এরা ঢাকা থেকে নীলফামারীতে গিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে সেটি ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে আবার ঢাকায় ফিরে আসেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও সিনিয়র এএসপি জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর