রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

টিসিবির পণ্য পেতে দীর্ঘ লাইনে মধ্যবিত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

টিসিবির পণ্য পেতে দীর্ঘ লাইনে মধ্যবিত্তরা

রাজশাহী লকডাউনে থেমে গেছে মানুষের রোজগার। সংসার চালাতেই হিমশিম। তাই নায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিবেশকের ট্রাকের সামনে। শুধু নিম্নআয়ের মানুষই নয়, মধ্যবিত্তরাও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন ব্যাগ হাতে। পরিবেশকরা বলছেন, লকডাউনের কারণে পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে সবাইকে পণ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে চাহিদা বাড়লেও রাজশাহীতে কমে গেছে টিসিবির পণ্য সরবরাহ। আগে রাজশাহী সিটিতে আট থেকে ১০টি পয়েন্টে ট্রাকে পরিবেশকরা টিসিবির পণ্য বিক্রি করতেন। এখন তা হচ্ছে পাঁচটি পয়েন্টে। গত ২৬ জুলাই থেকে নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ চত্বর, নওদাপাড়া আমচত্বর, ভদ্রা মোড়, সিঅ্যান্ডবি মোড় এবং রেলগেটে পাঁচজন পরিবেশক পণ্য বিক্রি করছেন। অন্যান্য পয়েন্ট বন্ধ। টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় জানিয়েছে, রাজশাহী সিটিতে পণ্য বিক্রির জন্য ৬০ জন পরিবেশক আছেন। পর্যায়ক্রমে তারা পণ্য বিক্রির সুযোগ পান। আজ যে পাঁচজন পণ্য বিক্রি করছেন, তারা আবার ১২ দিন পর বিক্রির জন্য পণ্য পাবেন। এভাবে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচটি পয়েন্টেই পণ্য বিক্রি করা হবে। এখন একজন পরিবেশককে প্রতিদিন ৭০০ কেজি চিনি, ৬০০ কেজি সয়াবিন তেল ও ২০০ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হচ্ছে।

পরিবেশকরা ট্রাকসেলে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি ও ডাল এবং ১০০ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। সেখান থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫ লিটার তেল এবং ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। গত মাসেও রাজশাহী সিটিতে ছয়জন পরিবেশকের প্রত্যেককে প্রতিদিন ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৭০০ কেজি চিনি ও ৪০০ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হতো বিক্রির জন্য। এখন কঠোর লকডাউন চললেও পরিবেশক যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে পণ্যের পরিমাণও।

নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, তখনো টিসিবির পণ্য নিয়ে পরিবেশকের ট্রাক আসেনি। কিন্তু নারী-পুরুষের দুটি লম্বা লাইন। কেউ কেউ না দাঁড়িয়ে লাইনে একটি ব্যাগ রেখে দিয়ে আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। সবার অপেক্ষা টিসিবির পণ্যের জন্য। টিসিবির পণ্য নিয়ে ট্রাক আসে সকাল সাড়ে ১০টার পর। তারপর তিনটি পণ্য বিক্রি শুরু হয়।

কয়েকজন পরিবেশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের কারণে টিসিবির পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই শেষ পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ানো সবাইকে পণ্য দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিদিনই কিছু মানুষকে ফিরে যেতে হয়। একজন পরিবেশক বলেন, ‘মানুষের হাতে টাকা কম। তাই এত ভিড়। সে কারণে পরিবেশকের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। সেই সঙ্গে মালও বেশি দেওয়া দরকার।’

টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান রবিউল মোর্শেদ বলেন, ‘লকডাউনে মানুষ সব গ্রামে চলে গেছে। সে কারণে পরিবেশকের সংখ্যা এবং পণ্যের পরিমাণ কমানো হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে কাজ করছি। তিনি বলেন, চাহিদা যদি বেশি থাকে তাহলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

সর্বশেষ খবর